সরকার ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিলেও নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই। ব্যবসায়ীরা আগের বাড়তি দামই রাখছেন। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।
গেল পবিত্র রমজান মাসে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট ও দাম বেড়ে যায়। এ কারণে এ সময়টাতে গফরগাঁও উপজেলায় সরিষার তেলের চাহিদা বাড়ে। ভোক্তারা ঝুঁকে পড়েন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সরিষার তেলের প্রতি।
অধিকাংশ তেলের মিল থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া এবং মিলার ও ডিলারদের কারসাজিতে পুরোনো বিক্রয় আদেশে (এসও) দেরিতে তেল সরবরাহ করা এবং বারবার বিক্রয় আদেশ হাতবদলের ফলে তেলের দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এই কারণগুলো উঠে এসেছে।
বৃহত্তর নোয়াখালীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী। সেখানেই গড়ে উঠেছিল ৩২টি সরিষা তেলের মিল। কাঠের ঘানির শব্দ একসময় চৌমুহনীর মানুষের কাছে ছিল ছন্দের মতো। কিন্তু সয়াবিন তেলের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা, স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণ এবং পুঁজি, কাঁচামালসহ নানা সংকটে ৩২টি মিল বন্ধ রয়েছে।